৩.১.২.১ ভাইরাসজনিত রোগসমূহ

এসএসসি(ভোকেশনাল) - পোল্ট্রি রিয়ারিং অ্যান্ড ফার্মিং-১ - দ্বিতীয় পত্র (দশম শ্রেণি) | | NCTB BOOK
20
20

৩.১.২.১ ভাইরাসজনিত রোগসমূহ (Virul diseases) 

 

                      (ক) রাণীক্ষেত রোগ 

           Ranikhet/ New Castle diseases

রাণীক্ষেত মুরগির ভাইরাসজনিত তীব্র ছোঁয়াচে রোগ। পৃথিবীর কমবেশি প্রত্যেক দেশে এ রোগের প্রকোপ রয়েছে। বাংলাদেশের মুরগির রোগগুলোর মধ্যে রাণীক্ষেত সবচেয়ে মারাত্বক ও গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিবছর এ রোগে দেশের বিরাট অর্থনৈতিক ক্ষতি সাধিত হয়। এ রোগের ব্যাপকতা এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এত বেশি যে, মুরগি পালনের জন্য রাণীক্ষেত রোগ একটি প্রধান অন্তরায়। বয়স্ক অপেক্ষা বাচ্চা মুরগি এতে বেশি মারাত্বক আক্রান্ত হয়। সাধারনত শুষ্ক আবহাওয়ায়, যেমন- শীত ও বসন্তকালে এ রোগটি বেশি দেখা যায়। তবে, বছরের অন্যান্য সময়েও এ রোগ হতে পারে। এ রোগটি সর্বপ্রথম ইংল্যান্ডের নিউক্যাসল নামক শহরে শনাক্ত করা হয়। তাই তাকে নিউক্যাসল ডিজিজ বলা হয়। তাছাড়া এ উপমহাদেশে ভারতের রাণীক্ষেত নামক স্থানে সর্বপ্রথম এ রোগটির অস্তিত্ব ধরা পড়ে বলে এ রোগকে রাণীক্ষেত রোগ বলা হয় ।

রোগের কারণ: প্যারামিক্সোভিরিডি পরিবারের নিউক্যাসল ডিজিজ ভাইরাস নামক এক প্রজাতির প্যারামিরোভাইরাস এ রোগের কারণ।

রোগ সংক্রমণ - 

নিম্নলিখিতভাবে এ রোগের জীবাণু সংক্রমিত হতে পারে। যেমন-

  • বাতাসের মাধ্যমে আক্রান্ত স্থান থেকে অন্যস্থানে জীবাণু ছড়াতে পারে। 
  • অসুস্থ বা বাহক পাখির সর্দি, হাঁচি-কাশি থেকে অন্যস্থানে জীবাণু ছড়াতে পারে।
  • আক্রান্ত এবং অতিথি পাখি আমদানির মাধ্যমে। 
  • মৃত মুরগি বা পাখি যেখানে সেখানে ফেললে।
  • বন্য পশুপাখির মাধ্যমে।
  • পরিচর্যাকারী বা দর্শনার্থী মানুষের জামা, জুতো বা খামারের যন্ত্রপাতির মাধ্যমে। 
  • খাদ্য, পানি ও লিটারের মাধ্যমে।

রোগের লক্ষণ: রাণীক্ষেত রোগ প্রধানত তিন প্রকৃতির । যথা-

 ক.ভেলোজেনিক প্রকৃতির লক্ষণ 

খ.মেসোজেনিক প্রকৃতির লক্ষণ। 

গ. লেন্টোজেনিক প্রকৃতির লক্ষ ।

 

ক. ভেলোজেনিক প্রকৃতির লক্ষণ: এ প্রকৃতির রাণীক্ষেত রোগ সবচেয়ে মারাত্বক। এতে অনেক সময় অত্যন্ত দ্রুত জীবাণু সংক্রমনের ফলে লক্ষণ প্রকাশের পূর্বেই মুরগি মারা যেতে পারে। তবে তা না হলে নিম্নলিখিত লক্ষণ গুলো প্রকাশ পায়। যেমন-

  • প্রথম দিকে আক্রান্ত পাখি দলছাড়া হয়ে ঝিমাতে থাকে । 
  • শরীরে কাঁপুনি হয়, ঘন ঘন শ্বাস গ্রহণ করে । 
  • সাদাটে সবুজ পাতলা পায়খানা করে ও দূর্বল হয়ে পড়ে। 
  • মুখ হা করে রাখে, কাশতে থাকে এবং নাকমুখ দিয়ে শ্লেষ্মা ঝরে।  
  • শরীর শুকিয়ে যায় । 
  • মাথার ঝুঁটি ও গলার ফুল কালচে হয় এবং চোখ মুখ ফুলে যায়। 
  • ডিমপাড়া মুরগির ডিম উৎপাদন কমে যায়, ডিমের খোসা পাতলা ও খসখসে হয়। তাছাড়া অপুষ্ট ডিম উৎপন্ন হয়।

খ. মেসোজেনিক প্রকৃতির লক্ষণ: মেসোজেনিক প্রকৃতিতে আক্রান্ত মুরগিতে রোগ লক্ষণ ততটা তীব্র নয়। তবে, নিম্নলিখিত লক্ষণ দেখা যায় :

  • ক্ষুধামন্দা দেখা দেয়।  
  • ডিম উৎপাদন কমে যায় । 
  • পাখির কাশি হয় ও মুখ হা করে নিঃশ্বাস নেয়। 
  • হলদে সবুজ রঙের পাতলা পায়খানা করে । 
  • জীবাণু আক্রমনের দুই সপ্তাহ পর স্নায়ুতন্ত্র আক্রান্ত হয়। ফলে মাথা ঘুরায় ও পা অবশ হয়ে যায়। 
  • মাথা একপাশে বেঁকে যেতে পারে, কখনো বা মাথা দুপায়ের মাঝখানে চলে আসে অথবা অথবা সোজা ঘাড় বরাবর পিছন দিকে বেঁকে যেতে পারে।

গ. লেন্টোজেনিক প্রকৃতি লক্ষণ:

  • এতে মৃদু প্রকৃতির লক্ষণ প্রকাশ পায়। যথা- 
  • শ্বাসতন্ত্র কম আক্রান্ত হওয়ায় এ তন্ত্রের লক্ষণ কম প্রকাশ পায় ৷ 
  • সামান্য কাশি থাকে। 
  • কিছুটা ক্ষুধামন্দা ভাব থাকে । 
  • ডিমপাড়া মুরগির ডিম উৎপাদন আস্তে আস্তে কমতে থাকে।

 

রোগ নির্ণয়: 

ময়না তদন্তে নিম্নলিখিত লক্ষণ দেখেঃ

  • শ্বাসনালীতে রক্তাধিক্য ও রক্ত সঞ্চায়ন।
  • স্বরযন্ত্র ও শ্বাসনালীতে রক্তাক্ত হয় ।
  • প্লীহা বড় হয়ে যায়।
  • খাদ্য অন্ত্রে, বিশেষ করে প্রভেন্ট্রিকুলাস ও গিজার্ডে, রক্তক্ষরিত পচা ক্ষত দেখা দেয়।
  • অন্ত্রের শেষভাগে পাতলা সাদাটে মল ।

চিকিৎসা: 

এ রোগের কোনো চিকিৎসা নেই। তবে, আক্রান্ত পাখিতে ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমিক সংক্রমণ রোধে অ্যান্টিবায়োটিক বা সালফোনেমাইড জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়াও ০.০১% পটাসিয়াম পারম্যাঙ্গানেট পানির সঙ্গে মিশিয়ে আক্রান্ত পাখিকে দৈনিক ২/৩ বার খাওয়ানো যেতে পারে।

রোগ প্রতিরোধঃ 

রাণীক্ষেত রোগ প্রতিরোধ দু'ধরনের টিকা ব্যবহার করা হয়। যথা- বি. সি. আর. ডি.ভি. এবং আর. ডি. ভি. । বি.সি.আর.ডি.ভি. এ টিকাবীক্ষের প্রতিটি শিশি বা ভায়ালে হিম শুষ্ক অবস্থায় ১ মি. লি. মূল টিকাৰীজ থাকে। প্রতিটি শিশির টিকাবীজ ৬ মি.লি. পরিশ্রুত পানিতে ভালোভাবে মিশাতে হয়। এরপর ৪ দিন ও ১৯ দিন বরসের প্রতিটি বাচ্চা মুরগির এক চোখে এক ফোটা করে ড্রপারের সাহায্য নিতে হবে।

আর. ডি. ভি.: এ টিকাবীজের প্রতিটি ভায়ালে ০.৩ মি.লি. মূল টিকাবীজ হিমশুষ্ক অবস্থায় থাকে। এ টিকা দু'মাসের অধিক বয়সের মুরগির জন্য উপযোগী। প্রথমে ভায়ালের টিকাবীজ ১০০ মি.লি. পরিশ্রুত পানির সাথে ভালভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর তা থেকে ১ মি.লি. করে নিয়ে প্রতিটি মুরগির রানের মাংসে ইনজেকশনের মাধ্যমে প্রয়োগ করতে হবে। ছয় মাস পরপর এ টিকা প্রয়োগ করতে হবে।

টিকা ছাড়া খামার থেকে রোগ দমনের জন্য নিম্নলিখিত বিষয়গুলো মেনে চলতে হবে। যথা- 

ক) রাণীক্ষেত রোগে মৃত পাখিকে পুড়িয়ে ফেলতে হবে বা মাটি চাপা দিতে হবে। 

খ) খামারের যাবতীয় সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি জীবাণুনাশক ওষুধ (যেমন-আয়োসান, সুপারসেপ্ট ইত্যাদি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের নির্দেশিত মাত্রায়) দিয়ে পরিচ্ছন্ন ও জীবাণুমুক্ত করতে হবে।

 

                            (খ) গামবোরো রোগ (Gumboro Disease)

গামবোরো বাচ্চা মুরগির মারাত্বক সংক্রমণ রোগ। পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই এর প্রাদুর্ভাব রয়েছে। এ রোগের পাখির রোগ প্রতিরোধক অঙ্গ অর্থাৎ বার্সাল ফ্যাব্রিসিয়াস আক্রান্ত হয় বলে প্রতিরোধক ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। তখন এরা সহজেই অন্য যেকোনো রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। তাই এ রোগকে বার্ড এইডস বা পোল্ট্রি এইডসও বলা হয়। এই রোগটি সর্বপ্রথম যুক্তরাষ্ট্রের ডেলওয়ার অঙ্গরাজ্যের গামবোরো জেলায় শনাক্ত করা হয় বলে একে গামবোরো রোগ বলে। কিন্তু এর মূল নাম ইনফেকশাস বার্সাইটিস বা ইনফেকশাস বার্সাল ডিজিজ । এ রোগে সাধারণত ২-৬ সপ্তাহ বয়সের বাচ্চা বেশি আক্রান্ত হয়। আক্রান্তের হার খুব বেশি (১০০% পর্যন্ত), তবে মৃত্যুহার খুব কম (৫-১৫%)। তবে কোনো কোনো সময় আক্রান্ত বাচ্চার ৫০% ও মারা যেতে পারে। এ রোগ থেকে সেরে ওঠা মুরগির উৎপাদন ক্ষমতা অত্যন্ত কমে যায় ।

রোগের কারণ: 

বিরনাভাইরিডি পরিবারের অন্তর্গত বিরনা ভাইরাসের সেরোটাইপ ১ এ রোগের জন্য দায়ী। এ ভাইরাসের দুটো স্ট্রেইন রয়েছে। যেমন- ক্লাসিক্যাল ও ভেরিয়েন্ট স্ট্রেইন।

সংক্রমণঃ 

  • একই ঘরে রাখা অসুস্থ বাচ্চার সংস্পর্শে সুস্থ বাচ্চা এলে। 
  • বাতাসের মাধ্যমে। 
  • কলুষিত লিটার, যন্ত্রপাতি মাধ্যমে। 
  • খাদ্য, লিটার, পোকামাকড়ের মাধ্যমে।
  • পরিচর্যাকারী বা দর্শণার্থীর জামা, জুতো ইত্যাদির মাধ্যমে।

গামবোরো রোগে আক্রার পাখিতে নিম্নলিখিত লক্ষণ দেখা যায়:

১) ক্ষুধামন্দা 

২) পালক উসকোখুশকো হয়ে যায়। 

৩) শ্লেষ্মাযুক্ত মল ত্যাগ করে, মলে রক্ত থাকতে পারে। এ মল মালদ্বারের চারপাশে আঠার মতো লেগে থাকতে পারে। 

৪) প্রথমে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায় ও পরে তা স্বাভাবিকের চেয়ে নিচে নেমে আসে। 

৫) পাতলা পায়খানা বা ডায়রিয়ার কারণে পানিশুন্যতা দেখা দেয়। 

৬) পাখি ধীরে ধীরে শুকিয়ে যায় ও দুর্বল হয়ে যায়। 

৭) শরীরের সতেজতা নষ্ট হয় । 

৮) তীব্র রোগে পাখির শরীরে কাঁপুনি হয় ও অবশেষে মারা যায়। 

৯) বেঁচে যাওয়া পাখির দৈহিক বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যায় । 

১০) বাচ্চাগুলো একসঙ্গে ব্রুডার বা ঘরের এককোণে জড়ো হয়ে থাকে। 

১১) ক্রিম সবুজ রঙের ডায়রিয়া হয়।

রোগ নির্ণয়: 

নিম্নলিখিতভাবে এ রোগ নির্ণয় করা যায়:

  • রোগের ইতিহাস ও বৈশিষ্ট্যপূর্ণ লক্ষণ দেখে। 
  • মৃত বাচ্চার ময়না তদন্তে প্যাথলজিক্যাল পরিবর্তন দেখে। এতে-
  • থাইমাস এবং বার্সা ফুলে যায় ও তাতে রক্তের ছিটা পাওয়া যায়। 
  • পা এবং উরুর মাংসে রক্তের বড় বড় ছিটা দেখা দেয়।

চিকিৎসা 
এ রোগের কোনো চিকিৎসা নেই । তবে আক্রান্ত পাখিগুলোকে ৩-৫ দিন স্যালাইন পানি (৫ লিটার পানি +২৫০ গ্রাম আখের গুড় + ১০০ গ্রাম লৰণ) পান করালে এদের পানিশূন্যতা রোধ হয়। এরা গায়ে শক্তি পার এবং রক্তপড়া বন্ধ হতে পারে।

রোগ প্রতিরোধ : 

রোগ প্রতিরোধই এ রোগ নিয়ন্ত্রণের একমাত্র পন্থা। এজন্য খামারে সবসময় সাস্থ্যসম্মত পরিবেশ বজায় রাখতে হবে। ঘর, খাঁচা ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি জীবাণুনাশক, যেমন ফরমালিন (ফরমালিনঃ পানি = ১৪৯), আয়োসান বা সুপারসেপ্ট দিয়ে ধৌত করতে হবে। বাংলাদেশে গামবোরোর বেশ কয়েক ধরনের টিকা আমদানি করা হয় যেমন:

* নবিলিস গামবোরো ডি ৭৮ 

* ভি১ বার্সা জি 

* বার ৭০৬

* গামবোরাল সিটি ইত্যাদি।

এগুলো প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের নির্দেশিত মাত্রায় নির্দিষ্ট বয়সে পাখিতে/মুরগিতে প্রয়োগ করতে হবে। তবে, ১০-১৪ দিন বয়সে প্রথমবার ও ২৪-২৮ দিন বয়সে বুষ্টার ডোজ হিসেবে চোখে ড্রপ বা মুখের মাধ্যমে পান করিয়ে এ টিকা প্রয়োগ করলে ভাল ফল পাওয়া যায়।

 

                                       (গ) মারেক্স রোগ (Murex Disease)

মারেক্স রোগ পাখির স্নায়ুতন্ত্রের টিউমার সৃষ্টিকারী মারাত্বক ধরনের ভাইরাসজনিত সংক্রামক রোগ। এটি লিম্ফোপ্রলিফারেটিভ রোগ, যা পাখির ক্যান্সার। এ রোগে পাখির প্রান্তীয় স্নায়ুতন্ত্র, যৌন গ্রন্থি, চোখের আইরিস, পেশি ও ত্বক আক্রান্ত হয়। সাধারণত ৬-১০ সপ্তাহ বয়সের বাচ্চা মুরগি এবং বাচ্চা কোয়েল এ রোগে আক্রান্ত হয়। ১৯০৭ সালে সর্বপ্রথম হাঙ্গেরিতে মারেক নামে এক ব্যক্তি এ রোগটি আবিষ্কার করেন বলে তার নামানুসারে এ রোগের এরুপ নামকরণ করা হয়। অবশতা এ রোগের প্রধান বৈশিষ্ট্য বলে একে ফাউল প্যারালাইসিসও বলে।

রোগের কারণ 

হারপেসভিরিডি পরিবারের অন্তর্গত হারপেস ভাইরাস ২ বা মারেক'স ডিজিজ ভাইরাস নামক ভাইরাস এ রোগের কারণ।

রোগ সংক্রমণ

  • বাতাসের সাহায্যে জীবাণু দেহে প্রবেশ করলে।
  • খাদ্যের ব্যাগ বা বস্তা, যন্ত্রপাতি, জামা-জুতা ইত্যাদির মাধ্যমে। 
  • আক্রান্ত পাখির লালা, শ্লেষ্মা, মল, পাখার ফলিকূল ইত্যাদির মাধ্যমে।
  • কীটপতঙ্গ, বিশেষ করে, ডার্কলিং বিটলের মাধ্যমে।

রোগের লক্ষণ 

অবশতা এ রোগের প্রধান বৈশিষ্ট্য। আক্রান্ত পাখির জাত, বয়স ও ভাইরাসের স্ট্রেইনের ওপর এ রোগের লক্ষণ নির্ভর করে । সাধারণভাবে নিম্নলিখিত লক্ষণ দেখা যায়:

  • প্রাতীয় স্নায়ু আক্রান্তের ফলে এক পা, এক ডানা বা দুই পা, দুই ডানা অবশ হয়ে ঝুলে পড়ে।
  • ষাড়ের মাংসপেশি আক্রান্ত হলে মাথা নিচের দিকে ঝুলে পড়ে। 
  • আইরিস বা চোখের উপরের পাতা আক্রান্ত হলে পাখিতে অন্ধত্ব দেখা দেয়।

দীর্ঘস্থায়ী প্রকৃতির হলে-

  • ক্ষুধামন্দা দেখা যায় । 
  • ফ্যাকাশে দেখায় । 
  • পাতলা পায়খানা হয় ।
  • ডিম উৎপাদন কমে যায়।
  • পাখি খোড়ায়, পা ও ডানা ইত্যাদি অবশ হয়ে যায়। 
  • হা করে নিঃশ্বাস নেয়। 
  • অনাহার ও পানি শূন্যতার কারণে পাখি মারা যায় ।

রোগ নির্ণয় 

ময়না তদন্তের মাধ্যমে নিম্নলিখিত লক্ষণ দেখা যায়:

  • বাসা ও থাইমাস ছোট হয়ে যাবে। 
  • প্রান্তীয় স্নায়ু যেমন- সারাটিক স্নায়ু মোটা হবে।
  • যেকোনো অভ্যন্তরীণ অঙ্গে এবং ফলিকুল বা গোড়ার টিউমার হবে। 
  • চোখের আইরিসের বর্ণের বিকৃতি ঘটবে

চিকিৎসা 

এ রোগের কোনো চিকিৎসা নেই। তবে মাধ্যমিক সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য নির্দিষ্ট এন্টিবায়োটিক প্রয়োগ করা যেতে পারে। 

রোগ নিয়ন্ত্রণ ও রোগ প্রতিরোধ

  • স্বাস্থ্যম্মত বিধি ব্যবস্থায় খামার পরিচালনা করা।
  • বিভিন্ন বয়সের মুরগি বা কোয়েল আলাদা আলাদা পালন করা। 
  • খামারে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা। 
  • সুস্থ মুরগির বাচ্চার টিকা প্রদান করা।

মারেক'স রোগ প্রতিরোধের জন্য বাচ্চা মুরগিতে টিকা প্রয়োগ করা সর্বোত্তম পন্থা। যেকোনো ধরণের ক্যানসারের বিরুদ্ধে এটি প্রথম উদ্ভাবিত টিকা। বাংলাদেশে মারেফ'স রোগের টিকা প্রস্তুত হয় না। তবে, বাজারে আমদানি করা টিকা কিনতে পাওয়া যায়। মারেক'স রোগের বিভিন্ন ধরণের টিকা রয়েছে। তবে এগুলোর মধ্যে এইচ.টি.ভি.-১২৬ অর্থাৎ মারেক্সিন সি এ ভালো কাজ করে । এ টিকা একদিন বয়সের বাচ্চা মুরগিতে ০.২ মি.লি. মাত্রায় ঘাড়ের ত্বকের নিচে প্রয়োগ করা হয়।

 

 

                                       ঘ) এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা (Avian Influenza)

 

এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগের কারণ: 

এটি ভাইরাসজনিত রোগ। এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা নামক ভাইরাস এরোগের কারণ। মানুষে ছড়ালে একে বার্ড ফ্লু বলে। মানুষে সংক্রমণের কারণে বার্ড ফ্লু বর্তমানে সর্বাধিক আলোচিত রোগ।

রোগের বিস্তার

  • রোগাক্রান্ত মুরসির প্রত্যেক্ষ বা পরোক্ষ সংস্পর্শ, মুরগির মল, লালা ইত্যাদি ব্যবহৃত খাদ্য, পানি, যন্ত্রপাতি, পাত্র, ইত্যাদির মাধ্যমে রোগটি ছড়াতে পারে। 
  • এছাড়া আক্রান্ত খামারের যানবাহন, ব্যক্তি, দর্শনার্থী ইত্যাদির মাধ্যমে রোগটি ছড়াতে পারে ।

রোগের লক্ষণ:

  • মুরগির খাবার চাহিদা কমে যায়। 
  • চোখ, মাথা ও খুঁটি ফুলে যায় 
  • চোখে দিয়ে পানি পড়ে । 
  • শরীরের পালকবিহীন অংশে রক্ত জমে কালো হয়ে যায়। 
  • মুরগি দুর্বল হয়ে প্যারাইসিস হয়ে যায়।
  • আক্রান্ত মুরগির শ্বাসকষ্ট হয় এবং শ্বাসপ্রশ্বাসের সমর ঘড় ঘড় লক্ষ করে ।
  • ঝুঁটি বেগুনি রং ধারণ করে ।
  • সবুজ রঙের পাতলা পায়খানা দেখা যায় । 
  • আক্রান্তের হার দ্রুত বাড়তে থাকে এবং মৃত্যুর হার ১০০% পর্যন্ত হতে পারে।

পোস্টমর্টেম লক্ষণ: 

শরীরের বিভিন্ন অংশে ও মাংসপেশিতে রক্তক্ষরণ দেখা যায়। চামড়ার নিচে, শ্বাসনালী, ফুসফুসে রক্তক্ষরণ ও মা দেখা যায়। সঠিকভাবে রোগ নির্ণরের জন্য ল্যাবে পাঠাতে হবে।

প্রতিরোধের উপায়: 

জৈব নিরাপত্তা সঠিকভাবে মেনে চলতে হবে। এছাড়া কোনো খামারে এ রোগ দেখা দিলে সম্মিলিতভাবে বৈজ্ঞানিক উপায়ে সমস্ত মুরগিকে ধ্বংস করতে হবে। কোনো ভাবেই আক্রান্ত মুরগি খামার থেকে বের করা যাবে না ।

 

                             (ঙ) ফাউল পক্স (Fowl Pox) 

পাখির বসন্ত বা ফাউল পক্স একটি ভাইরাসজনিত অত্যন্ত ছোঁয়াচে রোগ। সব বয়সের সব প্রজাতির পাখি এতে আক্রান্ত হতে পারে। পাখির বসন্ত একটি মারাত্মক রোগ। অসস্বাস্থ্যকর পরিবেশে এ রোগের প্রাদুর্ভাব ব্যাপকতা লাভ করে । তখন মৃত্যু হার অত্যন্ত বেড়ে যায়। যদিও ফাউল পক্স বলতে সব পাখির বসন্ত রোগকেই বুঝায় তথাপি বর্তমানে আলাদা নামেও, যেমন- পিজিয়ন পক্স, টার্কি পক্স, ক্যানারি পক্স প্রভৃতি ডাকা হয়। পৃথিবীর প্রায় পোল্ট্রি উৎপাদনকারী দেশেই বসন্ত রোগ দেখা যায়। এ রোগের পাখির দেহের বিভিন্ন স্থানে, বিশেষ করে উন্মুক্ত স্থানে এবং অভ্যন্তরীন অঙ্গে, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র লালচে নডিউল সৃষ্টি হয় যা বসন্তের গুটি নামে পরিচিত।

রোগের কারণঃ 

পরভিরিডি পরিবারের ফাউল পক্স ভাইরাস নামক ভাইরাস বসন্ত রোগের কারণ।

সংক্রমণ: নিম্নলিখিতভাবে এ রোগ সংক্রমিত হতে পারে। যথা-

  • রোগাক্রান্ত পাখির প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সংস্পর্শে সুস্থ পাখিতে এ রোগ ছড়াতে পারে। 
  • ত্বকের ক্ষত বা কাটা ছেঁড়ার মাধ্যমে।
  • কিউলের ও অ্যাডিস মশার মাধ্যমে।
  • তাছাড়া কখনো কখনো রক্তশোষক মাছি, ক্লি ও আঠালির মাধ্যমেও ছড়াতে পারে।

রোগের লক্ষণ:

বসন্ত রোগ প্রধানত দু'প্রকৃতিতে দেখা যায়। যথা-

ক. ত্বকীয় বা হেড ফর্ম প্রকৃতিঃ এ প্রকৃতিতে আক্রান্ত পাখির মুখমণ্ডলে বসন্তের গুটি দেখা যায়। আক্রান্ত পাখির ক্ষুধামন্দা, দৈহিক ওজন হ্রাস ও ডিম উৎপাদন কমে যাওয়া প্রধান বৈশিষ্ট্য। এটিকে শুষ্ক বসন্তও বলা হয়।

 

খ. ডিপথেরিটিক প্রকৃতিঃ এ প্রকৃতিতে প্রথমে আক্রান্ত পাখির জিহ্বায় ক্ষত দেখা যায়। এ ক্ষত পরে শ্বাসনালী ও ফুসফুসে বিস্তার লাভ করে । ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমিক সংক্রমণে অবশেষে পাখির মৃত্যু ঘটে। এ প্রকৃতির বসন্ত আর্দ্র বসন্ত নামে পরিচিত।

এ দু'প্রকৃতির বসন্ত আবার পাখিতে মৃদু ও তীব্র আকারে রোগের লক্ষণ প্রকাশ করতে পারে ।

যেমন- মৃদু প্রকৃতির বসন্তেঃ 

*পাখির উম্মুক্ত ত্বকে বসন্তের ফোসকা দেখা যায়। এটিই এ প্রকৃতির প্রধান বৈশিষ্ট্য । 

* মুরগির ঝুটি, গলকম্বল, পা, পায়ের আঙ্গুল ও পায়ুর চারপাশে বসন্তের গুটি বা ফুসকুঁড়ি দেখা যায়। এগুলো কিছুটা কালচে বাদামি রঙের হয়। 

* চোখের চারপাশে বসন্তের ফুসকুঁড়ির ফলে চোখ বন্ধ হয়ে যায় ।

 

তীব্র প্রকৃতির বসন্তে:

  • দেহের মুখগহ্বর, স্বরযন্ত্র, শ্বাসনালী ও অন্ত্রের দেয়ালেও বসন্তের ক্ষত দেখা দিতে পারে। 
  • শ্বাসনালী আক্রান্তের ফলে পাখির শ্বাসকষ্ট হয় ও পাখি শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যায় । 
  • এতে ডিমপাড়া মুরগির ডিম উৎপাদন কমে যায় । 
  • এতে পাখির মৃত্যু হার ৫০% পর্যন্ত হতে পারে ।

রোগ নির্ণয়-

  • আক্রান্ত স্থানে প্রথমে ছোট ছোট লাল দাগ হয় । 
  • পরবর্তীতে যা বড় হয়ে পুঁজপূর্ণ হয়, পেঁকে ঘা সৃষ্টি করে । এ ঘায়ে শেষে মামড়ি সৃষ্টি হয় ও তা পরবর্তীতে খসে পড়ে ।

চিকিৎসা: 

এ রোগের কোনো কার্যকরী চিকিৎসা নেই। তবে আক্রান্ত ক্ষত জীবাণুনাশক ওষুধ (যেমন- মারকিউরিক্রোম) দিয়ে পরিষ্কার করে তাতে সকেটিল, সালফানিলামাইড বা অন্য কোনো জীবাণুনাশক পাউডার লাগালে সুফল পাওয়া যায়।

রোগ নিয়ন্ত্রণ 

রোগ প্রতিরোধের জন্য যথাসময়ে পাখিদের টিকা প্রদান করতে হবে। স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশের সৃষ্টি এবং মশা নিয়ন্ত্রণও জরুরি। বসন্ত প্রতিরোধের জন্য এ দেশে দু'ধরনের টিকা প্রয়োগ করা হয়। যথা- 

১। পিজিয়ন বক্স টিকা: এটি ৩ মি.লি. পরিশ্রুত পানির সাথে মিশিয়ে দু'সপ্তাহের বয়সের বাচ্চার ডানার পালকবিহীন অংশে বাইকৰ্ড প্রিকিং নিডল বা সূঁচ দিয়ে খোঁচা মেরে প্রয়োগ করা হয় ।

২। ফাউল পক্স টিকাঃ এ টিকা হিমত অবস্থায় ০.৩ মি.লি. মাত্রায় কাচের অ্যাম্পুলে থাকে। এ পরিমাণ টিকা পরিশ্রুত পানিতে মিশিয়ে দু'শ পাখিতে প্রয়োগ করা যায়। পিজিয়ন পক্স টিকার মতো এ টিকাও এ পদ্ধতিতে বাইকড প্রিকিং নিভল দিয়ে পাখির ডানার পালকবিহীন স্থানে ২-৩ বার বিদ্ধ করতে হবে । প্রতিবারই পরিশ্রুত পানিতে গুলানো টিকার নিডল চুবিয়ে নিতে হবে। এ টিকা প্রয়োগের ৫,৭ বা ১০ তম দিনে টিকাৰিক স্থানে বসন্তের গুটি দেখা গেলে এর কার্যকারিতা প্রমাণ হবে। এ টিকা একমাসের বেশি বয়সের পাখিকে প্রয়োগ করতে হবে। এছাড়াও বিদেশে প্রস্তুত বসন্ত রোগের টিকা পাওয়া যায়। যেমন- ওভোডিপথেরিন ফোর্ট (ইন্টারভেট) যা কোম্পানির নির্দেশমতো মাত্রার প্রয়োগ করা হয়। বছরে একবার পাখিতে এ টিকা প্রয়োগ করা হয়।

 

 

                                  (চ) ইনফেকশাস ব্রংকাইটিস (Infectious Bronchitis)

করোনা ভাইরাস এ রোগের কারণ। সাধারণত বাচ্চা মুরগির এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। সাদা জাতের মুরগিতে এ রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি। মৃত্যুহার ১০-১৫% পর্যন্ত হতে পারে। বাচ্চা মৃত্যুর হার ৯০% হতে পারে।

রোগের বিস্তারঃ বাতাসের মাধ্যমে আক্রান্ত মুরগি ও তার ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির মাধ্যমে এ রোগ ছড়ায়।

রোগের লক্ষণ:

  • খামারে এ রোগের আক্রমণ হঠাৎ করে ঘটে ও প্রায় সকল মুরগি এক সাথে আক্রান্ত হয়। 
  • শ্বাসকষ্ট হয় ও মুখ দিয়ে পানি ঝরতে থাকে। 
  • সকালে ও রাতে লক্ষণগুলো প্রকট হয়।
  • অনেক সময় পানির মত পাতলা ডাইরিয়া হয় । 
  • চোখের ঝিল্লি লাল হয়। 
  • ডিম পাড়া মুরগির ডিম উৎপাদন কমে যায় ও ডিমের খোসা পাতলা ও অমসৃণ থাকে।

পোস্টমর্টেম লক্ষণ: 

শ্বাসনালীতে প্রচুর শ্লেষ্মা ও মৃদু রক্তরক্ষরণ দেখা দিবে। অস্বাভাবিক ডিমের কুসুম দেখা যাবে।

প্রতিরোধ: 

নিয়মমতো টিকা প্রদান করতে হবে এবং জৈব নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোরভাবে পালন করতে হবে। 

চিকিৎসা: 

কার্যকরী চিকিৎসা নেই। দ্বিতীয় পর্যায়ে সংক্রমণ এড়াতে অ্যান্টিবায়োটিক (মাইক্রোনিড, ডক্সাসিল ভেট) নির্দিষ্ট মাত্রায় প্রয়োগ করতে হবে।

 

 

                   (ছ) ইনফেকশাস ল্যারিঙ্গোট্রাকিয়াইটিস (Infectious Laryngo tracheitis):

ভাইরাস ঘটিত এই রোগটির অপর নাম এভিয়ান ডিপথেরিয়া। ৮-১৬ সপ্তাহ বয়সে এবং ডিমপাড়া অবস্থায় যেকোনো সময় এ রোগের সংক্রমণ হয়। মৃত্যুহার ১০-১৬% ।

রোগের বিস্তার:

  • আক্রান্ত মুরগির শ্বাস-প্রশ্বাস বা দেহ নিঃসৃত পদার্থের সংস্পর্শের মাধ্যমে খামারে ব্যবহৃত জিনিস পত্রের মাধ্যমে । 
  • এ রোগে আক্রান্ত মুরগি সুস্থ হওয়ার পর তার থেকে রোগ ছড়াতে পারে ।

রোগের লক্ষণ:

  • শ্বাসনালীতে রক্তক্ষরণ ও শ্লেষ্মা জমার কারণে শ্বাসকষ্ট হয় । 
  • নাক ও চোখ দিয়ে পানি গড়াতে থাকে। 
  • আক্রান্ত মুরগি মুখ খোলা রাখে এবং অনেক সময় দু'পায়ের উপর ভর করে ঘাড় লম্বা করে হাঁ করে নিঃশ্বাস নেওয়ার চেষ্টা করে ।
  • ঘড় ঘড় শব্দ হতে থাকে। 
  • কোন লক্ষণ প্রকাশের আগেই আক্রান্ত মুরগির মৃত্যু হতে পারে ।

পোস্টমর্টেম লক্ষণঃ মুরগির শ্বাসনালীতে সাদা আঠালো তরল পদার্থ পাওয়া যায়। ফুসফুস রক্তের মত লাল হবে। 

চিকিৎসাঃ কার্যকরী চিকিৎসা নেই। দ্বিতীয় পর্যায়ে সংক্রমণ এড়াতে অ্যান্টিবায়োটিক (মাইক্রোনিড, ডক্সাসিল ভেট) নিৰ্দিষ্ট মাত্রায় প্রয়োগ করতে হবে।

 

                 (জ) এগ ড্রপ সিনড্রম ( Egg Drop Syndrom):

এটি একটি ভাইরাসজনিত রোগ। শুধুমাত্র ডিম পাড়া মুরগিতে এ রোগ ক্ষতিসাধন করে । ডিম পাড়া মুরগি ডিম পাড়ার শুরুতে বা ডিম পাড়ার যে কোনো সময় ডিম্বাশয় আক্রান্ত হয়। ডিম পাড়ার সময় হঠাৎ করে ডিম উৎপাদন কমে যায় বলে এ রোগকে এপদ্রপ সিনড্রম বলে।

রোগের বিস্তার: 

আক্রান্ত মুরগির ডিম পাড়া শুরু করলে ভাইরাস নিঃসৃত হয় এবং ফ্লোরের অন্য মুরগিতে ছড়িয়ে পড়ে।

রোগের লক্ষণঃ

  • সর্বোচ্চ উৎপাদনের সময় ডিম পাড়া হঠাৎ মারাত্মকভাবে হ্রাস পায় । 
  • ডিমের খোসার গুণগতমান খারাপ হয় ।
  • বাদামি ডিমের রং বিবর্ণ হয়।
  • আক্রান্ত মুরগির রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। 
  • খাদ্য গ্রহণ কমিয়ে দেয়।
  • ডায়রিয়া দেখা যেতে পারে। 
  • পাতলা খোসার, নরম খোসার বা খোসাবিহীন ডিম পাড়তে দেখা যায়।

 

প্রতিরোধঃ 

ডিমপাড়া শুরুর পূর্বে টিকা প্রদান করলে এ রোগ প্রতিরোধ করা যায়। ডিম সংগ্রহ ও বহনের ট্রে নিয়মিত জীবাণুনাশক দ্বারা পরিষ্কার করতে হবে।

চিকিৎসা: কোনো কার্যকরী চিকিৎসা নেই।

 

 

 

Content added By
Promotion